Thursday, June 4, 2015

ফটোগ্রাফার ভাই-বোনদের জন্য গুরুত্তপূর্ন টিউন! না পড়লে মিস করবেন!!!

বাংলায় ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু করার জন্য এই পোষ্টটি করলাম। আশা করি সবাই সাড়া দিবেন। বাঙালী হুজুগে জাতি। তারা কোন কিছুতেই বেশীদিন মন টেকাতে পারে না। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাদের আগ্রহ ছিলো স্মার্ট ফোনের উপর। এখনো আছে। কিন্তু তাদের ঝোক কমে গেছে। সেই জায়গায় এখন এসেছে ডিএসএলআর ক্যামেরা। কিছুদিন পর কি আসবে কে জানে! কিন্তু এটারও কিন্তু কিছু ভালো দিক আছে। কিছুদিন পর পর ফ্যাশন চেঞ্জ করতে করতেই কিন্তু কেউ কেউ কোন বিষয়ের প্রেমে পড়ে যান। তারা সেই বিষয়ের উপর হয়ে ওঠেন দক্ষ! এরকমভাবে ডিএসএলআর ক্যামেরার হুজুক ওঠার পর অনেকেই ডিএসএলআর কিনছেন। অনেকেই কিনবেন। অনেকে চেস্টা করছেন এটার পড়াশুনা করতে আর ভালোভাবে ফটোগ্রাফি শিখতে। আরো ভালো ছবি তুলতে। আবার অনেকে ডিএসএলআর ব্যাবহার করছেন মেয়ে পটাতে। আমাদের অনেকেই চেষ্টা করছেন ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ভালো করে কিছু শিখতে। কিন্তু আমাদের বাংলায় শুধু ফটোগ্রাফির উপর বা ফটোগ্রাফি শেখার জন্য তেমন কোন বাংলা ব্লগ বা কমিউনিটি নেই। গুগলে সার্স দিলেও বাংলায় তেমন কিছু পাওয়া যায় না। কেউ কেউ একারনে কোন দিকনির্দেশনা না পেয়ে ফটোগ্রাফির উপর আগ্রহই হারিয়ে ফেলছেন। আমার ফ্রেন্ড সার্কেলেও এমন ২-৩ জন আছেন। টেকনোলজির উপর যেমন টেকটিউন্স, টিউনার পেজের মত কিছু অসাধারণ ওয়েবসাইট আছে, মোবাইল ফোনের জন্য আছে মুঠোফোন। ফটোগ্রাফির উপর তেমন কিছুই নেই। তাই আমরা চেষ্টা করছি এমন একটা কমিউনিটি /সাইট বানাতে, যেখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের ফটোগ্রাফির জ্ঞান শেয়ার করবো। এতে আমরা নিজেরাও অনেক কিছু শিখে উপকৃত হবো। অন্যরাও ভালো কিছু শিখতে পারবে। দেশও ভালো কিছু ফটোগ্রাফার পাবে। পৃথিবীর সেরা কিছু ফটোগ্রাফি শেখার ওয়েবসাইটঃ http://digital-photography-school.com/ http://www.cambridgeincolour.com/ http://tutsplus.com/ আপনিও যদি ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু করতে চান তবে যোগ দিন আমাদের সাথে। ফেসবুকে তো অনেক সময়ই ব্যয় করেন। বাংলায় ফটোগ্রাফির উন্নতির জন্য যদি অল্প কিছু সময় ব্যায় করলে সেটাই অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সকল beginner এবং intermediate ফটোগ্রাফারের কাছে অনুরোধ করছি আমাদের সাথে যোগ দিতে। দেশের ফটোগ্রাফির জন্য কিছু করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে। আমাদের গ্রুপ::: https://m.facebook.com/groups/230963103694048?refid=27
Reade more >>

PS Camera, Semi-SLR এবং Mobile দিয়ে ভালো ছবির জন্য সাধারণ পালনীয় কিছু নিয়ম


PS Camera, Semi-SLR এবং Mobile দিয়ে ভালো ছবির জন্য সাধারণ পালনীয় কিছু নিয়ম – ১. মোড অধিকাংশ ক্যামেরাতেই অনেকগুলো শুটিং মোড থাকে, যেমন: ইজি, অটো বা প্রোগ্রাম, শাটার প্রায়োরিটি, অ্যাপার্চার প্রায়োরিটি, ম্যানুয়াল। এছাড়াও বেশ কিছু প্রিসেট/সীন মোড থাকে, যেমন: Sunset, Beach, Snow, Foliage, Night, Fireworks, Pets, Sports ইত্যাদি। পরিস্থিতি বুঝে প্রিসেট মোডগুলো দিয়ে ছবি তুলতে পারেন, অনভিজ্ঞদের জন্য ভালোই ফলাফল দিয়ে থাকে। তবে আগেভাগেই নিজের ক্যামেরায় এই মোডগুলো নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করে হাত পাকিয়ে রাখুন, যাতে প্রয়োজনের সময় হঠাৎ খেই হারিয়ে না ফেলেন। শুটিং মোড-এর মধ্যে নতুনদের জন্য অটো বা প্রোগ্রাম মোড হলো সবচেয়ে নিরাপদ। একটু অভিজ্ঞ হলেই অন্য মোডে ছবি তোলা শুরু করুন – সেসব নিয়ে অন্যান্য পর্বে লিখবো। ২. জুম অপশন: জুম দুরকমের – অপটিক্যাল ও ডিজিটাল। অপটিক্যাল জুমে ক্যামেরার লেন্সকে অ্যাডজাস্ট করে দূরের জিনিসকে কাছে দেখানো হয়; আর ডিজিটাল জুমে ক্যামেরার সফটওয়্যার দিয়ে ছবিকে বড়/ম্যাগনিফাই করা হয়। অপটিক্যাল জুম যখন এনগেজ হবে লেন্সের ভেতরের বিভিন্ন এলিমেন্টের অবস্থান পরিবর্তন হবে মেকানিক্যাল স্টেপার মোটরের সাহায্যে, এবং প্রায় সকল ক্যামেরাতেই সে সময় মোটরের ও লেন্সের নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পাবেন; অনেক ক্যামেরাতেই ডিসপ্লেতে আপনাকে দেখাবেও কতটুকু জুম অর্জিত হলো (2x, 3x ইত্যাদি)। ক্যামেরার সর্বোচ্চ অপটিক্যাল জুম অর্জিত হবার পর আরো জুম করতে চাইলে ডিজিটাল জুম এনগেজ হয়, এবং ডিসপ্লেতে ডিজিটাল জুম যে এনগেজ হয়েছে সে রকম কোন চিহ্ন বা মেসেজ বা রংয়ের পরিবর্তন দেখতে পাবেন (ম্যানুয়াল দেখে নিশ্চিত হোন আপনার ক্যামেরার ক্ষেত্রে কি ধরনের ইন্ডিকেশন)। ডিজিটাল জুমের সময় লেন্স বা মোটরের কোন নড়াচড়া হবেনা, তাই কোন শব্দও শোনা যাবেনা। বেশিরভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেটেই শুধুমাত্র ডিজিটাল জুম আছে, অপটিক্যাল জুম নেই। জুম করার প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র অপটিক্যাল জুম দিয়েই ছবি তুলবেন, ডিজিটাল জুম পারত ব্যবহার করবেন না। ডিজিটাল জুম মাত্রই আপনাকে নিম্নমানের ছবি দেবে। ছবিকে বড় করার দরকার হলে কম্পিউটারে ট্রান্সফার করার পর কোন ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার (যেমন ফটোশপ) দিয়ে বড় করবেন। ডিজিটাল জুম এনগেজ করলে এই একই কাজই ক্যামেরার বিল্ট-ইন সফটওয়্যার করে থাকে। কিন্তু ক্যামেরার সফটওয়্যারের চেয়ে কম্পিউটার সফটওয়্যারগুলো যেহেতু অনেক উন্নতমানের ও সফিসটিকেটেড অ্যালগরিদম ব্যবহার করে, কম্পিউটারে কাজটি করলে ক্যামেরার চেয়ে বেশ খানিকটা ভালো ফল পাওয়া যায়। নেহায়েতই কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহারে অপারগ হলে ডিজিটাল জুম ব্যবহার করবেন, অন্যথায় নয়। তবে খেয়াল রাখবেন, কম্পিউটারেই করুন আর ক্যামেরাতেই করুন, ডিজিটাল জুম সবসময়ই আপনার ছবির শার্পনেস কমিয়ে ফেলবে এবং ছবির মান খারাপ হয়ে যাবে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি ডিজিটাল জুমকে নিজের জন্য নিষিদ্ধ জ্ঞান করি, এবং আমার ক্যামেরায় ডিজিটাল জুম পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছি যাতে বেখেয়ালেও কখনো ডিজিটাল জুম এনগেজ হয়ে না যায়। ৩. ছবির সাইজ আপনার ক্যামেরাটি যত মেগাপিক্সেলেরই হোক সাধারণত কয়েকটি বিভিন্ন সাইজে ছবি তোলার সুযোগ তাতে দেয়া থাকবে। বড়র দিকে সর্বোচ্চ মেগাপিক্সেলে (Large), ছোটর দিকে সাধারণত ৬৪০x৪৮০ (Small বা ই-মেল সাইজ), এবং মাঝামাঝি আরো ২ বা ৩ টি সাইজ। পর্যাপ্ত স্টোরেজ/ মেমোরী কার্ড থাকলে চেষ্টা করবেন বড়র দিকে ছবি তুলতে। কোন ছবিটি যে অসাধারণ হয়ে যাবে আপনি আগে থেকে জানেন না, একটি অসাধারণ ছবি ছোট সাইজে তুলে ফেলে পরে যেন না পস্তান সে জন্য বড় করেই ছবি তুলুন। বড় ছবি সবসময়ই আপনি ছোট করতে পারবেন শার্পনেসের কোন ব্যাঘাত না ঘটিয়েই, কিন্তু ছোট ছবি বড় করতে গেলেই তার মান কমে যাবে (ডিজিটাল জুম)। বড় করে ছবি তোলার আরেকটি সুবিধা হলো ছবির অংশবিশেষ কেটে নিলেও আপনার হাতে একটি বড় ইমেজ থাকবে। ৪. ছবির কোয়ালিটি প্রায় সব ক্যামেরাতেই ছবির কোয়ালিটি কী রকম চান তা নির্ধারণের সুযোগ থাকে (ফাইনেস্ট বা বেস্ট কোয়ালিটি থেকে নিচের দিকে কোর্স বা লোয়েস্ট কোয়ালিটি, মাঝামাঝি আরো ১/২ টি ধাপ যেমন, অ্যাভারেজ)। আবারো পর্যাপ্ত স্টোরেজ/মেমোরী কার্ড থাকলে চেষ্টা করবেন সবসময় বেস্ট কোয়ালিটিতে ছবি তুলতে। পরে চাইলে আপনি কোয়ালিটি ডিগ্রেড করতে পারবেন, কিন্তু লো কোয়ালিটির ছবি আপগ্রেড করার সুযোগ নেই বললেই চলে। ৫. ফ্লাশ যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন ফ্লাশ ব্যবহার না করেই ছবি তুলতে, দিনের বেলায় আউটডোরে ফ্লাশের দরকার হয় না (কিছু বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া, পরে কখনো আলোচনা করবো)। কিন্তু ইনডোরে ফ্লাশ দরকার হয়ে পড়ে। ইনডোরে দরকার হলেও প্রথমে চেষ্টা করবেন ফ্লাশ ছাড়াই চালানো যায় কিনা, অর্থাৎ সব বাতি জ্বালিয়ে দিয়ে, বাড়তি বাতির বা বাইরের আলো পর্যাপ্ত ঢোকার ব্যবস্থা করে। সেরকম ব্যবস্থা করা না গেলেই কেবল ফ্লাশ ব্যবহার করবেন। তবে খেয়াল রাখবেন স্থির নয় এমন সাবজেক্টের (যেমন শিশু বা প্রাণী) ইনডোর ছবি তোলার সময় ফ্লাশ ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন – বেশিরভাগ ক্যামেরারই বিল্ট-ইন ফ্লাশটির কার্যকরী দুরত্ব ১০-১২ হাতের বেশি নয়, এর চেয়ে দূরের জিনিস ফ্লাশ ব্যবহার করলেও ভালো ছবি আশা না করাই উচিত। ৬. ISO স্পীড: ফিল্ম ক্যামেরায় স্পীড নির্ধারিত হয় ফিল্মের রাসায়নিক প্রলেপের আলোক- সংবেদনশীলতা দিয়ে, বিভিন্ন স্পীডের ফিল্ম পাওয়া যায়। ডিজিটাল ক্যামেরায় দরকার ছিলো না, তবু ফিল্মের যুগের সাথে মিল রাখার জন্য স্পীড ব্যবস্থাটি প্রবর্তন করা হয়েছে। সাধারণত স্পীড AUTO, 50, 100, 200, 400, 800, 1600, … – এরকম হয়। যত বেশি স্পীডে ছবি তুলবেন, তত কম আলোতে ছবি তুলতে পারবেন, কিন্তু সেই সাথে ছবির মানও খারাপ হতে থাকবে (নয়েজ)। ৪০০র বেশি স্পীডে তোলা ছবি দেখলে আপনার মন খারাপই হতে পারে। AUTO স্পীডে থাকলে আলোর অবস্থা বুঝে ক্যামেরার সফটওয়্যারই সিদ্ধান্ত নেবে কত স্পীডে ছবিটি তুলতে হবে। চেষ্টা করবেন সবসময় যত কম ISO স্পীডে পারা যায় ছবি তুলতে, সবচেয়ে ভালো (কম সিগনাল-টু- নয়েজ রেশিও) ছবিটি সবচেয়ে কম ISO স্পীডেই পাওয়া যায়। আমার নিজের জন্য সর্বোচ্চ স্পীড ১০০, কদাচিত আলো খুব কম থাকলে ২০০ তে তুলেছি, তার উর্ধ্বে কখনোই নয়। ৭। এফেক্ট: অনেক ক্যামেরাতেই বিভিন্ন রকমের এফেক্ট দিয়ে ছবি তোলার ব্যাবস্থা আছে, যেমন: সাদা কালো, সেপিয়া, নেগেটিভ, ফটো ফ্রেম ইত্যাদি। এসব ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ ইচ্ছা করলেই ছবি কম্পিউটারে নিয়ে আপনি যে কোন এফেক্ট যোগ করতে পারবেন।
Reade more >>

কিছু ভুল, যা নতুন ফটোগ্রাফাররা করেন


ভুল, যা নতুন ফটোগ্রাফাররা করেন এবং মাঝে মধ্যেই এটা নিয়ে কথা শুনতে হয়। আজকে আলোচনা করবো সেই বিষয় গুলি; যাতে আপনি যদি নতুন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি নিজে ঐ ভুল গুলি থেকে বাচঁতে পারবেন। আসেন তাহলে শুরু করি। ভুল ১: অতিরিক্ত এবং অস্বাভাবিক রং আমি ছবি তোলা শুরু করবার কিছুদিনের মধ্যেই পরিচয় ঘটে Adobe Photoshop Lightroom সফটওয়্যারটির সাথে, আর যায় কোথায় কালার বাড়িয়ে অস্থির অবস্থা। ছবিটাতে আমি ইচ্ছা মত আকাশ-পানি-সূর্য সব কিছুর উপরে রং ঢেলেছি। কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন, টেম্পারেচার সব কিছু নিয়ে পরীক্ষা করে মোটামুটি সাধারণ একটি ছবিকে বানিয়েছি অস্বাভাবিক। ছবিটি দেখলে যে কেউই বুঝবে যে আকাশের রং থেকে শুরু করে সবই ছিলো অবাস্তব এবং রং গুলি ছিলো চোখে বাঁধবার মত। প্রথম প্রথম এগুলিতে বেশ হাত তালি (ফেসবুক লাইক) পেতাম ঠিকই, তবে এখন এগুলি দেখলে এতটাই লজ্জা লাগে যে কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েই বসেছিলামঃ বান্দরের হাতে যেমন খুন্তা দিতে নাই, নতুন ফটোগ্রাফারের হাতেও তেমনি লাইটরুম দিতে নাই নতুন ফটোগ্রাফাররা প্রায় প্রত্যেকেই এই ভুল করে থাকেন। ইফ ফটো ফ্যাক্টরি পেজে জেনেছেন, তাই যারা নতুন ফটোগ্রাফী করছেন, তাদের বলি, কালার পরিবর্তন এমনিতেই চলে আসবে, কালার কি করে সুন্দর করতে হয় তাও এমনিতেই শিখে যাবেন। ভুল ২: ছবি গুলি শার্প হয়না নতুন ফটোগ্রাফারদের আর একটি ভুল হলো তাদের ছবি শার্প হয়না। হয়তো ওয়াইড লেন্স দিয়ে ম্যাক্রো কারতে গিয়ে না হয় সাটার স্পিডের সমস্যার কারণে বা হাত কেঁপে গিয়ে এই সমস্যা হয়। কিন্তু ইফ ফটো ফ্যাক্টরি পেজে জেনেছেন নতুন ফটোগ্রাফাররা এই দোষটা পুরাই চাপিয়ে দেন কিট লেন্সের উপরে। তাদের ধারণা থাকে যে কিট লেন্সে ছবি শার্প হয়না, যেটা একটা ভুল ধারণা। ছবির দিকে লক্ষ রাখতে হবে যেন ছবি শার্প হয়, ছবি যত শার্প হবে, তত ভালো। তাই বলে আবার ক্যামেরার সেটিংস থেকে শার্পনেস এত্তোগুলা বাড়ায় দিয়েন না, তাতে বরং ছবি নষ্ট হতে পারে। সেটিংস এর শার্পনেস নরমাল রেখে আপনি ভালো করে ছবি তুলুন। ভুল ৩: ছবি সোজা হয়না নতুন ফটোগ্রাফারদের এটা অন্যতম আর একটি সমস্যা। নতুন ফটোগ্রার রা ছবির অন্য সব কিছু নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত হয়ে পড়েন যে তাদের জন্য ছবি সোজা রাখবার কথা মনে রাখাই কষ্টের। কিন্তু একটা ছবি সামান্য একটু কাঁৎ হবার কারণেই দেখাতে পারে জঘন্য! ছবি সোজা রাখতে যে কোন একটা কিছুকে চয়েজ করুন যা সোজা আছে। নদীতে নৌকার ছবি তুললে নদীর অপর পাড়কে হিসাব করতে পারেন, রাস্তায় গাড়ির ছবি তুললে রাস্তার বর্ডারকে হিসাব করতে পারেন, ইফ ফটো ফ্যাক্টরি পেজে জেনেছেন কোন দোকানের ছবি তুললে সেই দোকানের সাটার/দরজাকে দিয়ে হিসাব করতে পারেন, স্ট্রীটফটোগ্রাফীতে খাম্বাকে হিসাব করতে পারেন। এছাড়া আর একটা সমস্যা হয়, তা হল অনেক সময় ছবির কর্ণার skew হয়ে যায়, যেটা ফটোশপে খুব সহজেই সমাধান করা যায়, এবং ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবেন। ভুল ৪: কাছে যেতে চান না নতুন ফটোগ্রাফাররা দূর থেকেই সব তুলতে চান, কাছে যেতে চান না। কিন্তু ফটোগ্রাফার Robert Capa একবার বলেছিলেন, “যদি আপনার ছবি যথেষ্ট সুন্দর না হয়, তার অর্থ হচ্ছে আপনি কাছে যাচ্ছেন না”। তাই জুম লেন্সের কথা চিন্তা না করে বরং ওয়াইড লেন্স নিয়ে কাছে যান, এতে ল্যান্ডস্কেপ, পোট্রেইট সহ সব ছবিই সুন্দর আসবে। ভুল ৫: কন্ট্রাস্ট, এক্সপোজার, সাদা-কালো লেভেল ঠিক না থাকা একটা সুন্দর ছবি শুধু মাত্র কন্ট্রাস্ট এক্সপোজার এবং সাদা কালোর লেভেলের জন্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। অনেকেই ছবির কন্ট্রাস্ট এত পরিমানে বাড়িয়ে ফেলেন যে তা শুধু বিশ্রী উপমা দেওয়া যায়। এক্সপোজার এমন একটা বিষয়, যা আপনার ক্যামেরাতেই যত সম্ভব ঠিক করে নেওয়া উচিত। হ্যাঁ, অনেকেই মনে করেন যে ফটোশপ/লাইটরুম এ ঠিক করে নেওয়া যাবে, কিন্তু এমনটা মনে করা ঠিক নয়, অনেক সময় এটাই ছবি নষ্টের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। আর একটা ছবিতে সাদা- কালো থাকবেই, সাধারণত সাদার দিকেই মানুষের চোখ বেশী যাবে। তাই সাদা-কালোর ব্যালান্স এবং লেভেল ঠিক রাখা উচিত। ভুল ৬:: HDR এ বাড়াবাড়ি নতুন ফটোগ্রাফাররা বেশী কালারফুল ছবি চান দেখে এক সময় তাদের পরিচয় ঘটে HDR ছবির সাথে। এখানে ইচ্ছা মত রংচং করে খালি বললেই হয় যে HDR, তাতে আর কেউ মাইন্ড করে না; এমনই একটা ধারণা নতুনদের। কিন্তু HDR এও অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির বিষয় আছে। রং বাড়াতে বাড়াতে এবং কাজ করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে অনেকেই পৌছে যায় যে সেটা আর খারাপ ছবি হিসাবে বলা যায় না, বলা যায় জঘন্য ছবি। আমিও প্রথম প্রথম শুরু করেছিলাম।
Reade more >>

Favourite

Bali

Pantai

sponsor

sponsor
Meee

Transportasi Tradisional

Rumah Adat

Wisata

Jawa Timur

Translate

Kuliner

Popular Posts

Culture